অল্প ছোটগল্প
By Md. Ali Ajgor
Copyright 2020 Md. Ali Ajgor
Smashwords Edition
Smashwords Edition, License Notes
This ebook is licensed for your personal enjoyment only. This ebook may not be re-soldor given away to other people. If you would like to share this book with another person,please purchase an additional copy for each recipient. If you’re reading this book and didnot purchase it, or it was not purchased for your use only, then please return to yourfavorite ebook retailer and purchase your own copy. Thank you for respecting the hardwork of this author.
পাঠক, আমার বইখানা সংগ্রহ করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক ভালোবাসা ও অভিনন্দন। এই বইয়ে প্রকাশিত ছোট গল্পগুলো আমি ছোটবেলায় লেখেছি। ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় ছোটবেলায় লেখা ছোট ছোট গল্পগুলো আপনাদের মতো বড় মনের মানুষদের জন্য প্রকাশ করলাম।
প্রিয় পাঠক, নিরাশ হবেন না। গল্পগুলো আগে পড়ুন। আশা করি কিছুটা হলেও হাসবেন, মজা পাবেন। কারণ টাইপ করার সময় আমার লেখার ধরণ দেখে নিজেকেই হাসতে হয়েছে। সেই লেখাসমূহ কিন্তু হুবহু এই বইয়ে তোলে ধরেছি। আসলে গল্পগুলো বোধ করি আমার শৈশব চিন্তা-ভাবনা আর কল্পনার প্রতিফলন । ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে এগুলো লিখি। এরপর ধীরে ধীরে বড় হতে থাকি কিন্তু গল্প আর কবিতা আগের মতো লেখা হয়ে ওঠে না। যদি আপনারা আমার পাশে থাকেন তবে লেখা পুনরায় আরম্ভ করতে পারি।
গল্পগুলো কাল্পনিক তবে শিক্ষণীয়, শিশুদের জন্য উপদেশমূলক।
এক বনে এক বাঘ বাস করতো। বাঘটি ছিলো খুব লোভী। বাঘটির খিদে পেলে সামনে যা পেতো তাই খেতো। বনের পাশে একটি গ্রাম ছিলো। প্রতি রাতে বাঘ ঐ গ্রামে হানা দিতো। গ্রাম থেকে একজন কে সে ধরে নিয়ে যেতো। এভাবেই চলতেছিলো। গ্রামবাসী সব সময় আতঙ্কে থাকতো। এই বুঝি কার প্রাণ গেলো। বাঘটি কাউকে না পেলে অন্য যা কিছু পেতো সামনে পশুপাখি, গাছপালা যা পেতো তাই খেতো। এক লোক ঐ গ্রামে বেড়াতে এলো। গ্রামের এই অবস্থা জেনে সে একটা বুদ্ধি আটলো। সে সবাইকে একত্রিত করে তাকে বিরাট বড় একটি লোহা এনে দিতে বললো। গ্রামবাসীরা তাই করলো। সে ঐ লোহাটি একটি কলা গাছের ভিতরে গেথে দিলো আর গ্রামবাসী সকলকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করলো।
সে কলাগাছটিকে বাঘের পথে পেতে রাখলো। সেই রাতে গ্রামে বাঘ এলো। কাউকে খুজে না পেয়ে গর্জন করতেছিলো। বাঘটি কলাগাছটিকে দেখলো। কলা গাছটিতে থাবা দিয়ে কামড় বসিয়ে দিলো। আর যেই না কামড় দিলো অমনি গলায় তার লোহাটি আটকে গেলো। সে চিৎকার করছে, আর বলছে, "বাচাও! বাচাও!" তার চিৎকারে কেউ আসলো না। লোভী বাঘটি মারা গেলো। পরদিন সকালে গ্রামবাসী এসে লোকটির কাছে কৃতজ্ঞতা জানালো। লোভী বাঘের জীবন সমাপ্ত হলো।
এক ছিলো এক ছেলে। তার নাম আসিফ। সে ছিলো বোকা। তার দুই বন্ধু ছিলো। তাদের নাম শরীফ ও আরিফ। তারা তিনজন ছিলো খুব ভালো বন্ধু। একদিন বিকালে বটতলায় তাদের কথা হচ্ছে।
শরীফঃ কাজ নেই কর্ম নেই। আমাদের আর কিছুই ভালো লাগে না।
আরিফঃ বেকার থাকতে আর ভালো লাগে না।
আসিফঃ আমরা কাজ চাই।
শরীফঃ (বিস্মিত হয়ে) তাহলে কাজ কর?
আসিফঃ কাজ ছাড়া কিভাবে কাজ করবো?
তিনজনে খুব চিন্তায় পড়ল। তারা কাজ খোঁজে কিন্তু কোন কাজ পায় না। এক রাতে শরীফ স্বপ্ন দেখলো যে, তারা যদি রাস্তায় শুয়ে থাকে; যদি কোন গাড়ি এসে তাদের এক্সিডেন্ট করে, তবে তারা চাকরি পাবে। আসিফ ও আরিফ তারা ও রাতে একই স্বপ্ন দেখলো। সকালে বটতলায় তাদের কথা হচ্ছে।
শরীফঃ আজ রাতে আমি একটি চমৎকার স্বপ্ন দেখেছি।
আসিফঃ কি দেখেছো?
শরীফঃ আমরা তিনজন যদি রাস্তায় শুয়ে থাকি ও কোন গাড়ি এসে যদি আমাদের এক্সিডেন্ট করে তাহলে আমরা চাকরি পাবো।
আরিফঃ আমিও তো একই স্বপ্ন দেখেছি।
আসিফঃ আমিও দেখেছি।
শরীফ ও আরিফ যুক্তি করলো যে, আজকে তারা দুজন রাস্তায় শুয়ে থাকবে। আর বোকা ছেলেটি (আসিফ) কালকে রাস্তায় শুয়ে থাকবে। আসিফ তাতে রাজি হয়ে গেলো। স্বপ্নের মত তারা দুজন রাস্তায় শুয়ে গেলো। একটি জিপ আসলো।
ড্রাইভারঃ এই তোমরা এখানে শুয়ে আছো কেন? তারাতারি এখান থেকে উঠো।
শরীফঃ আপনি আমাদের এক্সিডেন্ট করুন।
আরিফঃ হ্যা, আমাদের এক্সিডেন্ট করুন।
তারা বারে বারে ড্রাইভার কে অনুমতি করে। আধা ঘন্টা পরে ড্রাইভার দুঃখে চোখের পানি ভাসিয়ে তাদের এক্সিডেন্ট করে। আসিফ তা দেখে তাকিয়ে রইলো। ড্রাইভার তারাতারি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। আসিফ ও গেলো তাদের সাথে। রাস্তায় শরীফ ও আরিফ মারা গেলো। আসিফ ভাবলো, স্বপ্ন সত্য হয় না। পুলিশ ড্রাইভারকে ধরে নিয়ে গেলো। আসিফ বিচারক কে সব ঘটনা খুলে বললো। বিচারক ড্রাইভার কে ছেড়ে দিলো। তারপর আসিফ কে চাকরী দিলো। তার বারে বারে স্মরন হয় স্বপ্ন কোন দিন সত্য হয় না।
একদা এক বনে একটি শিয়াল বাস করতো। আর একটি বাঘ বাস করতো। শিয়ালটি ছিলো খুব বুদ্ধিমান। আর বাঘটি ছিলো খুব বোকা। শিয়াল প্রতিদিন বাঘটিকে ধোকা দিতো। বাঘ কিছুই বুঝতে পারতো না। একদিন শিয়াল পাথরের জায়গায় বসে পেয়ারা খাচ্ছে। বাঘ দেখে ফেললো। বাঘটি শিয়াল এর কাছে গেলো।
বাঘঃ ভাগনে, কি খাচ্ছিস?
শিয়ালঃ পেয়ারা খাচ্ছি মামা। (এদিকে পেয়ারা খাওয়া শেষ)।
বাঘঃ আমাকে দিবি?
শিয়ালঃ না-না তুমি সব খেয়ে ফেলবে।
বাঘঃ সব খাবো না।
শিয়ালঃ আমি যখন দুরে গিয়ে হুক্কা-হু-ওয়া বলবো তখন (পাথর দেখিয়ে) পেয়ারা গুলো খাবে।
বাঘঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
শিয়াল দূরে গিয়ে চিৎকার করলো, "হুক্কা-হু-ওয়া। বাঘ তখন একটি পাথর নিয়ে কামড় দিলো। আর যেই না কামড় দিলো অমনি তার একটি দাঁত পড়ে গেলো। রক্ত ঝরছে। শিয়াল তা দেখে ভয়ে এক দৌড় দিলো। দৌড়াতে দৌড়াতে শিয়াল হুচট খেয়ে, একটি কঞ্চির ভিতর তার পা আটকে গেলো। শিয়াল ভাবলো," আমি হলাম সবচেয়ে বুদ্ধিমান। আর আমার পা এখানে আটকে গেলো! না, এ হতে পারে না"। তাই সে কোন রকম কষ্ট করে উঠলো। সে একটি গরুকে মেরে এনে কঞ্চির পেছনে রাখলো। তারপর বাঘের কাছে গেলো।
শিয়ালঃ মামা-মামা, একটি গরু দেখেছি।
বাঘঃ কোথায় গরু?
শিয়ালঃ ঐ যে, কঞ্চির পেছনে গরু বিশ্রাম নিচ্ছে।
বাঘঃ আরে তাইতো, চল খাবো।
শিয়ালঃ মামা, একটি গরু দুজনে খেলে কি আমাদের পেট ভরবে? তাই আমি একটি বুদ্ধি বের করেছি।
বাঘঃ কি বুদ্ধি?
শিয়ালঃ যে আগে সেখানে দৌড়ে যেতে পারবে, সে গরুটিকে খাবে।
বাঘঃ চমৎকার বুদ্ধি তো!
তারা দৌড়াতে লাগলো। শিয়াল পেছন দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেলো। আর বাঘ দৌড়াতে দৌড়াতে হুচট খেয়ে পরে কঞ্চির উপর তার পা গেঁথে গেলো। সে কোন রকমে কষ্ট করে উঠলো। উঠে গরুটির কাছে গেলো। মরা গরু দেখে বললো, "শিয়াল আমাকে এমন ধোকা দিয়েছে আমি তাকে কালকে খাবো"। শিয়াল তা শুনে ফেললো। তাই সে একটি বুদ্ধি বের করলো। সে বনে গিয়ে সব পশুপাখি কে বললো," তোমরা বড় হয়েছো। এখন তোমাদের লেখাপড়া দরকার। তোমরা কালকে আমার বিদ্যালয়ে যাবে। গর্তে আমার বিদ্যালয়"। তা শুনে সবাই খুশি হলো। বানর এ ঘটনা বাঘ কে গিয়ে বললো। বাঘ বললো," ভালোই হলো। এবার সবগুলো কে খাবো"।
পরদিন সকালে সবাই শিয়ালের গোহায় গেলো। সাপ, ব্যাঙ, হাস, মুরগী, কুকুর, বিড়াল, কাকড়া সবাই গেলো। তাদের দেখে শিয়াল বললো," তোমরা কখনো বিপদে পড়তে পারো। বাঘ তোমাদের আক্রমন করতে পারে। বাঘ বলেছে তোমাদের আজ সে খাবে"। সবাই বললো," তাহলে উপায়?" শিয়াল বললো," উপায় আছে। বাঘ আসলে তোমরা সবাই গিয়ে তাকে একসাথে আক্রমণ করবে। ঐ যে, বাঘ আসছে। যাও গিয়ে আক্রমন করো"। বাঘকে দেখে সবাই গিয়ে তাকে আক্রমণ করলো। বাঘ তা সহ্য করে ভয়ে দৌড়াতে লাগলো। এরপরেও তারা তাকে ছাড়ে না। বাঘ কোপের মধ্যে পরে গেলো। এক লোক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে তাকে দেখে বাঘ বললো-
বাঘঃ এই যে ভাই, আমাকে এই কোপ থেকে তুলে দিবেন?
লোকঃ আমি তোমাকে তুলে দেবো আর তুমি আমাকে খাবে।
বাঘঃ না, খাবো না। দয়া করে আমাকে তুলে দিন। আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।
লোকঃ আচ্ছা তুমি এই রশি দিয়ে উঠো।
বাঘ এসে বললো- এবার আমি তোকে খাবো।
লোকঃ আমি তোমাকে বাচিয়েছি আর তুমি আমাকে খাবে? [শিয়াল এই ঘটনা দেখে ফেললো]। শিয়াল এসে বলল- তুমি তাকে খাবে কেন? বরং তুমি আমাকে খাওয়ার কথা। আমি তোমার অপকার করেছি। এখন তুমি আমাকে খাও।
বাঘঃ এই তুমি চলে যাও। [লোকটি চলে গেলো]।
শিয়ালঃ তুমি আমাকে দৌড়ে ধরতে পারলে আমাকে খাবে।
বাঘঃ আচ্ছা। এই বলে দু'জন দৌড়াতে লাগলো। চৈত্র মাস। পানি সূর্যের তাপে গরম হয়ে গেল। বাঘ দৌড়াতে দৌড়াতে হঠাত হুচট খেয়ে পানিতে পরে গেলো। বাঘ সাতার জানে না। আর এদিকে ততক্ষনে শিয়াল পালিয়ে গেলো। পানির তাপে ও পানিতে ডুবে বাঘটি মারা গেলো। শিয়াল এসে দেখে বাঘ মরা। শিয়াল বললো,
শিয়াল আমার নাম-
বাঘ কে ধোকা দেওয়াই আমার কাম।
একদা এক ছেলে বাস করতো। নাম তার আলতাফ। সে বিদ্যালয়ে গেলো। ক্লাসে ঢুকতে না ঢুকতেই শিক্ষক তাকে বেঁত দিয়ে আঘাত করলো। সে ভাবলো যে, আজ তার কোন না কোন বিপদ হবে। ছুটির পর সে বাড়ি ফিরলো। তার মা বললো," গোসল করে আয়। ভাত খাবি"।
আলতাফ পুকুর ঘাটে গেলো। সেখানে তার কাপড়-চোপড় রাখলো। হাত ঘড়িটিও রাখলো। সে পুকুরে ডুব দিতে না দিতেই একটি মাছ তাকে খেয়ে ফেললো। আলতাফ এখন পানি থেকে উঠে না। এক ঘন্টা পর তার মা আসলো পুকুর ঘাটে। এসে দেখলো আলতাফ নেই। তার মা ভাবলো যে, নিশ্চয় ডুব দিয়েছে কিছুক্ষন পর উঠবে। কিন্তু কতক্ষন হয়ে গেলো- আলতাফ পানি থেকে উঠছে না। তিনি দেখলেন, পুকুর ঘাটে আলতাফ এর কাপড়-চোপড় ও ঘড়িটি আছে কিন্তু আলতাফ নেই। এরপর থেকে শুধু তার মায়ের চোখ থেকে পানি ঝরে। তার মা প্রতিদিন একটি করে রুটি পানিতে ফেলে। সে রুটি মাছে খায়। এরপরে আলতাফ রুটিটি খায়। গাছের ফলমূল পানিতে পরে। সে ফল মাছটি খায়। এরপরে পেটের ভিতর থেকে তা খেয়ে আলতাফ জীবন ধারন করে। আলতাফের ঘড়িটি এলার্ম দেয়। তার মা ছুটে আসে আলতাফ এসেছে বলে। কিন্তু এসে দেখে আলতাফ নেই। এভাবেই দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়। কিন্তু আলতাফ মাছটি থেকে মুক্তি পায়না। সে পুকুরের ঠিক মাঝখানে তলদেশে ছিলো একটি বাটি। মাছ বাটিটিকে খেয়ে ফেললো। আলতাফ বাটিটিকে নিয়ে বিষন্ন মনে নরাচরা করে। আর বাটি থেকে এক দৈত্য বেরিয়ে আসে। দৈত্য দেখে আলতাফ ভয় পেয়ে গেলো। দৈত্য বললো," আমি এ বাটির ক্রীতদাস। বলো তোমার জন্য আমি কি করতে পারি"। আলতাফ বললো," আমি এ মাছটি থেকে মুক্ত হতে চাই। দৈত্য একটি ছুরি আনলো। এনে মাছটির পেটটা কেটে ফেললো। আলতাফ বের হয়ে আসলো। এসে মরা মাছটির উপর বসে, সাতাঁর কেটে ঘাটে এলো। সে দেখলো তার কাপড় চোপড় যেখানে রেখেছিলো সেখানেই আছে। তার ঘড়িটি এলার্ম দিচ্ছে। তার মা এলার্ম শুনে দৌড়ে আসলো। আলতাফ বললো," মা আমি এসেছি"। তাকে দেখে তার মা'র মুখ খুশিতে ঝলমল করে উঠলো। আর দৈত্য বললো," আলতাফ এসেছে"। তার মা বললো," সে আবার কে?" আলতাফ বললো," সে এ বাটির ক্রীতদাস। আমি যা চাবো সে তাই দিবে। তার জন্যই আমি মুক্ত হয়েছি"। আলতাফ আরো বললো," এ মাছ আমাকে খেয়েছে। আমি এবার তাকে খাবো। তার মা তাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপর থেকে তারা সুখে শান্তিতে বাস করতে লাগলো।
আকিব নামের এক ছেলে পাখিদের খুব ভালোবাসতো। সে পাখিদের কোন কষ্ট দেখলে সহ্য করতে পারতো না। সে অনেক পাখি পোষ মানাতে পারতো। পাখিদের প্রতি তার ভালোবাসার অন্ত নেই। পাখিরা আকাশে উড়ে, তা আকিবের কাছে খুব সুন্দর লাগতো। সে টিয়ে, ময়না, ঘুঘু, বুলবুলি ইত্যাদি পাখি পোষ মানাতো। তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন জঙ্গলে, পথেঘাটে, মাঠে ঘুড়ে বেড়াতো। সন্ধ্যা হলেই তারা আকিবের কাছে ফিরে আসতো। সেই গ্রামেই কতগুলো খারাপ ছেলে ছিল। তাদের মধ্যে দীপু সেই দলের নেতা। সবাই দীপুর কথা শুনতো কিন্তু আকিব তাকে পছন্দ করতো না। দীপু ও তার দলবল সবাই পাখি ধরে মেরে ফেলতো। আকিব তাদেরকে পাখি ধরতে মানা করে। কিন্তু দিপু তাকে নিয়ে ঠাট্টা করে ও মারধর করে।
একদিন দীপু তার দল একটি গাছের নিচে বসে আছে। আকিব গিয়ে তাদেরকে বললো," তোমরা পাখি মেরো না। পাখি আকাশে উড়লে কত সুন্দর লাগে"। আকিব যেই না কথাটি বললো অমনি দীপুর দল ও দীপু তাকে এসে মারতে লাগলো। তারপর এক লোক এসে আকিবকে মুক্ত করলো। আকিব বললো," এর ফল তোমরা একদিন পাবে"। আকিব বাড়ি চলে গেলো। গিয়ে দেখে টিয়ে পাখি তার বই পত্র গুছিয়ে দিচ্ছে, ময়না থাক পড়ার কক্ষ ও শোবার কক্ষ পরিষ্কার করছে, ঘুঘু তার বাড়ি পরিষ্কার করছে আর বুলবুলি তার কক্ষ কে সাজিয়ে তুলেছে। আকিব পাখিদের এই কান্ড থেকে মুগ্ধ! আকিব তাদেরকে খাবার দিলো। এবার সে খেলতে গেলো। পাখিরা ও তার পিছু পিছু চললো।
আকিব ক্রিকেট খেলতেছিলো। খেলায় দীপুর দল টসে জিতে ব্যাটিং করতেছিলো। টিয়ে মাঠে গিয়ে আকিব কে বলে," কি খাবে"? আকিব বললো," আমাকে একটি কলা এনে দাও। টিয়ে কলা এনে আকিব কে খেতে দিলো। আকিব কলা টি খেলো। খেলায় দীপু আকিবের বলে বোল্ড আউট হয়ে যায়। দীপু মাঠের বাইরে চলে যায়। এবার সে একটি বুদ্ধি আটলো। সে আকিবের পাখিকে ধরে জবাই করে খাবে। এরপর দীপুর দলের দুইজন ব্যাট করছে এবং বাকি সবাই চলে গেলো জঙ্গলে। সেখানে একটি গাছের ডালে আকিবের প্রিয় পাখি বসে আছে। তখন দীপু বললো," তোরা এখানে থাক আমি টিয়ে কে ধরে এনে মজা করে খাবো"। তারপর দীপু গাছটিতে উঠলো। দীপু গাছের পাতার আড়ালে থাকায় তাকে দেখা যাচ্ছিলো না। তখন এক শিকারী এলো পাখি শিকার করতে। শিকারী গাছে টিয়ে পাখিটিকে দেখলো। সে ধনুক নিয়ে তীর দিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে। আর দীপু ও পাখির একেবারে কাছাকাছি। টিয়ে শিকারী ও দীপু কে দেখলো। টিয়ে চালাকি করে গাছের ডালে বসে রইলো। যেই না শিকারী তীর নিক্ষেপ করে, পাখিটি উড়ে গেলো। কিন্তু তীর দীপুর মর্মস্থল ভেদ করলো। দীপু তখনই গাছ থেকে পরে গেলো। শিকারী ভয়ে পালিয়ে গেলো। দীপু মারা গেলো। তার সব বন্ধুরা এসে দেখে তার এই অবস্থা। টিয়ে পাখি আকিবের কাছে উড়ে যায়। গিয়ে সব ঘটনা খুলে বললো সবাইকে। সবাই টিয়ের কথা শুনে খেলা বন্ধ করে জঙ্গলে দৌড় দিলো। গিয়ে দেখলো মৃত দীপু কে। পাখি ধরা ও খাওয়ার জন্য তার আজ এই অবস্থা। সব ছেলেরা কান্না করলো। দীপুর দলের সবাই আকিবের কাছে ক্ষমা চাইলো। আকিব মাফ করে দিলো। আকিব মাফ করে দিলো। এরপর থেকে সবাই মিলেমিশে থাকে। কেউ পাখি কে ধরে না শিকার করেনা আদর করে। আর পাখিরা ও বনে জঙ্গলে স্বাধীন ভাবে উড়ে বেড়ায়। তা দেখে সবার সুন্দর লাগে। তখন আকিবের খুশির অন্ত থাকে না। তারপর থেকে সবাই পাখিদের প্রতি ভালোবাসা দেখায়।
একদা এক লোক ছিলো। তার নাম সালমান। সে অনেক খারাপ কাজ করতো। সে প্রতিদিন তার দোকানে চাউল বিক্রি করতো। সেই চাউলে পাথর মিশাতো। খাবার সময় পাথর মানুষের মুখে পরলে মানুষের মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যেতো। সালমান প্রতিদিন ২০ কেজি চাউলে ৫ কেজি পাথর মিশাতো। এতে সে অনেক লাভ করতো। তার ছেলে ছিলো পুলিশ অফিসার। একদিন তার বাড়ির চাকর গেলো বাজারে। চাকরদের নিষেধ ছিলো তার দোকান থেকে চাউল কিনা। কোন দোকানে সে চাউল পেলো না। তাই সালমানের দোকান থেকে সে চাউল কিনে আনলো। তখন দোকানে সালমান ছিলো না। তার দুঃসম্পর্কের ভাইকে দোকানে বসিয়ে কিছু সময়ের জন্য বাড়িতে গেছিলো।
তার ছেলে আজ বাড়ি এসেছে। তাকে খাবার দেওয়া হলো। সবাই বসলো খেতে। সবার মুখে শুধু পাথর লাগে। বার বার। তার ছেলের নাম ছিলো জামাল। জামাল বললো," আজ তুমি কি চাউল এনেছো আমাকে দেখাবে। ওদেরকে আজ হাজতে ঢোকাবো"। চাকর তাকে দোকানে নিয়ে গেলো। দোকানে জামালের বাবা কে দেখতে পেলো। প্রতিদিন অন্য একটা লোক পাথর মেশানোর ঘটনাটি দেখতো। সেই লোকটি সব কথা খুলে বললো। জামাল আইনের চোখে সবাই সমান জেনে তার বাবা কে হাজতে ঢুকালো। ১ বছর পর তিনি ছাড়া পেলেন। কিন্তু সে বাড়িতে না গিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেলো। সেখানে গিয়ে সে খাদ্যে ভেজাল মেশানো শুরু করলো। এসব খাদ্য মানুষ খেয়ে অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছিলো। সালমান কলা গাছ থেকে কলা পেরে, কাঁচা কলা পাকিয়ে বিক্রি করতো। নতুন ব্যাবসায় সে অনেক লাভ করে। বেশ কয়দিন ধরে সে এ খারাপ কাজে লিপ্ত ছিলো। একদিন এক লোক তার খাদ্যে ভেজাল দেওয়া দেখে ফেললো। সে পুলিশ এনে তাকে ধরিয়ে দিলো। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে হাজত খানায় ঢুকালো। জেলে সে অনেক রকমের শাস্তি পেয়েছিলো। পাঁচ বছর পর সে ছাড়া পেলো। ছাড়া পেয়ে সে অন্য যায়গায় গেলো। এবার সে নারী ও শিশু পাচার করা আরম্ভ করলো। সে দিন দিন অনেক ধনী হয়ে গেলো। তার নতুন আস্তানায় একটি ছেলে খুব বুদ্ধিমান ছিলো। ছেলেটি এক বুদ্ধি বের করলো। সে একজন পুলিশ নিয়ে গেলো। পুলিশ গোপনে গিয়ে সালমান কে ধরে ফেললো। তৃতীয়বারের শাস্তি ছিলো আরো ভয়ানক। এবার সে ১০ বছর থাকলো হাজতখানায়। এবার ছাড়া পেয়ে সে অন্যান্য খারাপ কাজে সে লিপ্ত হলো। চুরি, ডাকাতি আরম্ভ করে দিলো। সে শুধু ধনী হচ্ছিলো। অনেক ধনবান। এমন একদিন আসলো যে সে পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এভাবে কয়েক বছর ভালোভাবে কাটিয়ে দিলো।
একদিন সে দেখে কয়েকজন মানুষ অনাহারে রয়েছে। খাবার না পেয়ে মরে যাচ্ছিলো। তা দেখে সে ভাবলো," এসব ধন সম্পদ দিয়ে কি হবে? আমি অনেকবড় অন্যায় করে ফেলেছি। আমি মানুষের অনেক ক্ষতি করেছি। না-না-না। আমি ওদের কাছে গিয়ে মাফ চাইবো"। তখন সে তার ভুল বুঝতে পারলো। সে সারা দেশের মানুষের কাছে গিয়ে মাফ চাইলো। দেশবাসী তাকে মাফ করার জন্য নারাজ। দিন রাত ২৪ ঘন্টা সে সবার পায়ে ধরে মাফ চাইতে লাগলো। দেশবাসীর দয়া হলো। তারা তাকে মাফ করে দিলো। তারপর কেউ আর এরকম করে না।
উপদেশঃ তোমরা কিন্তু এসব খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ো না। মানুষকে দুঃখ দিও না।
একদা আবির নামের এক ছেলে বাস করতো। সে তার মা বার সাথে থাকতো। একদিন আবির টেলিভিশন দেখছিলো। তখন রাত ৮ টা বাজে। ৮ টার বাংলা সংবাদ দিলো টেলিভিশনে। সংবাদের শেষে সাংবাদিক বললো," রাত ৮টার সংবাদ এখানেই শেষ, রাত ১০ টার ইংরেজি সংবাদ দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই শেষ করলাম"। সে বই এর পড়েছিলো, আমন্ত্রণ অর্থ দাওয়াত। সে ভাবলো নিশ্চয় কোন সুস্বাদু খাবার খাওয়াবে রাত ১০ টার ইংরেজি সংবাদে। তার মা খুব সুস্বাদু খাবার তৈরি করেছিলো। সে তার জীবনেও এরকম খাবার খায়নাই। তার মা তাকে খাবার খেতে দিলো। সে বললো," আমি এই খাবার খাবো না। আমাকে দাওয়াত করেছে রাত ১০ টার ইংরেজি সংবাদে। তার মা বললো," সেটা খাবার নয় তোমাকে খাওয়াবে না"। সে মনে করলো তার মা মিথ্যে বলছে। তাই সে বললো," না! না! না! আমাকে নিশ্চয় খাওয়াবে"। তার খাবার রেখে তার মা বাবা ঘুমিয়ে গেলো।
তখন রাত সারে ৮ টা। সে নাটক দেখছিলো। তার চোখে ঘুম এসেছিলো। রাত ১০ টা বাজে। রাত ১০ টার ইংরেজি সংবাদ দিয়েছে টেলিভিশনে। কিন্তু তাকে কোন খাবার দেওয়া হয়না। শুধুই ইংরেজি সংবাদ বলছে। সে রেগে মেগে তার মা কে গিয়ে বললো," মা! মা! মা! আমাকে খাবার দাও। তার মা বললো, তুমি খাবার খাওনি কেন? খাবার এখন নষ্ট হয়ে গেছে। এই পঁচা বাসি খাবার খেতে পারবে না। এই বলে তার মা ঘুমিয়ে গেলো। কিন্তু সে ক্ষিদের জালায় বাসি খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলো। সকালে ঘুম থেকে উঠে তার পাতলা পায়খানা হয়েছে। কারণ তার ডায়রিয়া হয়েছে। তার মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো। অনেক কষ্টে তাকে সুস্থ করে তুললো। তারপর সে আর বোকামি করে না।
তোমরা কিন্তু আবিরের মত বোকামি করো না। বাসি খাবার খেও না।
এক ছিল এক ছেলে। তার নাম সাকিবুল হাসান। তাকে সাকিব বলে ডাকে। সন্ধ্যা হলো। ঘর অন্ধকার। ঘরে বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা নেই। তার বাবার নাম রহমত মিয়া।
সাকিবঃ বাবা-বাবা-বাবা।
রহমতঃ হ্যা, কি হয়েছে?
সাকিবঃ বাবা, ঘর অন্ধকার থাকে। ঘরে একটি বাতি আনা দরকার।
রহমতঃ তাই, আচ্ছা। কাল বাজার থেকে একটি কেনো দুইটি আনবো। এখন ঠিক আছে?
সাকিবঃ ঠিক আছে।
পরদিন তার বাবা বাজার থেকে দুইটি বাতি কিনে আনলো। একটি বাতি জালালো ঘর আলোকিত হয়ে গেলো। আরেকটি সাকিব তার নিজের কাছে রেখে দিলো। সাকিবের একটি টিয়ে পাখি ছিলো। সে যা বলে, টিয়ে তা এনে দেয়। একদিন সকালে সাকিব মনে মনে কথা বলছিলো," ইশ! কলা খেতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে। টিয়ে পাখি তা শুনে একটি কলা এনে উপর থেকে ফেলে দিলো। বাতিটি সাকিবের সামনে ছিলো।
সাকিবঃ এই বাতিটি নিশ্চয় জাদুর বাতি। আমি যা চাই তা এনে দেয়।
সে কলাটি খেলো। সে যা চাইতো টিয়ে পাখি তা এনে দিতো। কিন্তু সে ভাবতো এ বাতির কারসাজি। একদিন তার বাবা মা কে তা দেখালো।
সাকিবঃ বাবা! মা! এখনি আসো।
বাবাঃ কি হয়েছে এত ডাকা ডাকছো কেন?
সাকিবঃ বাবা দেখো এই বাতিটি থেকে যা চাই তাই পাই।
বাবাঃ না আমি বিশ্বাস করি না।
মাঃ আমিও বিশ্বাস করি না।
সাকিবঃ তোমরা বিশ্বাস করো না? তাহলে দেখাচ্ছি। আমার একটি কলম চাই।
টিয়ে পাখি তা এনে উপর থেকে ফেললো। তারা মনে করলো সত্যিই বাতিটি তা এনে দিচ্ছে। তার বাবা মা ক্রমান্বয়ে চাইতেছে আর টিয়ে পাখি তা এনে দিচ্ছে। অপরদিকে এক চোর সব কথা শুনে ফেললো। তারা ঘুমানোর পর চুর এসে বাতিটি চুরি করলো। সাকিব তা টের পেলো।
সাকিবঃ চোর! চোর! চোর! বাবা-মা! উঠো চোর। সাকিবের চিৎকার শুনে চোর পালাচ্ছে। সবাই চোরের পিছু পিছু দৌড়াচ্ছে। চোর কোন উপায় না দেখে বাতিটি নদীতে ফেলে দিলো। সবাই দেখলো কিন্তু চোর কে আর ধরতে পারলো না। সবাই বাতি উদ্ধার করতে পানিতে নামলো।
সারা দেশের এমন কোন মানুষ নেই যে বাতিটার কথা জানে না। এক জেলে সেই নদীতে গেলো মাছ ধরতে। জেলে বাতিটা পেয়ে গেলো। বাতিটার কথা জেলে ও জানতো। সে বাতিটি বাড়িতে নিয়ে গেলো। বাতির কাছে সে মাছ চাইলো। কিন্তু বাতি চুপ! কিছুই আনে না। জেলে অনেককিছুই চাইলো কিন্তু কিছুই পেলো না। জেলে ছিলো খুব চালাক। সে দেশের বড় ধনী ব্যাক্তির কাছে বাতিটা নিয়ে গেলো।
জেলেঃ জনাব, এই সেই বাতি যেই বাতি সারাদেশের মানুষ খুজছে। ধনী ব্যাক্তি ভাবলো সে মিথ্যা বলছে। ধনী ব্যাক্তির কাছে একটি মিথ্যা কথা শনাক্তের যন্ত্র ছিলো। যন্ত্রটি এনে জেলের কথার সত্যতা যাচাই করলো।
ধনী ব্যাক্তিঃ এই বাতিটা আমায় দাও।
জেলেঃ আমাকে কিছু দেবেন না? ধনী ব্যাক্তির মনে লোভ জন্মালো সে ভাবলো জেলে কে কিছু না দিলে চলবে না। যদি পত্রিকায় ঘটনা ছাপা হয়ে তবে আমার দুর্নাম হবে।
ধনী ব্যাক্তিঃ তুমি কি চাও?
জেলেঃ আপনার সব সম্পত্তি।
ধনী ব্যাক্তি ভাবলো এতো সম্পদ দিয়ে কি হবে বাতির কাছে চাইলে এগুলো সব আবার ফিরে আসবে। ধনী ব্যাক্তি রাজি হলো। দলিলে সাক্ষর দিয়ে জেলে কে তার সব সম্পত্তি বুঝিয়ে দিলো। এবার ধনী ব্যাক্তিটা বাতিটার কাছে তার ধন সম্পদ টাকা পয়সা অনেক কিছু চাইলো। কিন্তু কিছুই পেলো না। সে সর্বমোট ১ হাজার বার চাইলো। একবার ও কিছু পেলো না। জেলে দেশের সবচেয়ে বড় ধনী হয়ে গেলো। অপরদিকে লোভী ব্যাক্তিটি পথের ভিখারি হয়ে গেলো। এরপর সে মারা গেলো। এই ঘটনা পত্রিকায় ছাপা হলো।
দেখেছো বেশি চাওয়ার কারণে কেমন পরিণাম হলো? তোমরা অল্পতে সন্তুষ্ট থাকবে। কখনো লোভ করবে না। মনে রাখবে লোভে পাপ পাপে মৃত্যু।
###
অসংখ্য ধন্যবাদ ও অফুরন্ত ভালোবাসা রইল আমার বই পাঠ সম্পন্ন করার জন্য । বইটি ভালো লাগলে অনুগ্রহ করে রেট ও রিভিউ করবেন। আপনাদের সুচিন্তিত মতামতের প্রত্যাশায় রইলাম । সুস্বাস্থ্য ও শুভকামনা রইল ।
- মোঃ আলী আজগর
মোঃ আলী আজগর তার স্কুল জীবনে থকতে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি ১৯৯৫ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার ছোট্ট একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও ২০১৮ সালে প্রণিবিজ্ঞানে অনার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে একই কলেজে মাস্টার্স পড়ছেন । পাশাপাশি গ্রামের একটি নন-এমপিও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।